বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে

বিশ্বাস করুন, স্বল্প আর দীর্ঘমেয়াদি দুই রকমের এই লক্ষ্য জনপ্রিয় করার মাধ্যমে আমরা নতুন এক যুগের সূচনা করতে পারবো। এতক্ষণ যা নিয়ে কথা বললাম, সেই সব ‘সংগ্রাম’, এবং ‘আন্দোলন’ এবং ‘প্রতিবাদে’র নেতিবাচক দ্বান্দিকতা নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। সেই সাথে নিঃশেষ করছে আমাদের। এসব পার হয়ে আমরা হয়ে উঠতে পারব এক নতুন গণ কমিউনিজমের অগ্রদূত। মার্কসের মত করে বললে যার ‘ভূত’ আরও একবার শুধু ফ্রান্স বা ইউরোপ নয়, তাবৎ দুনিয়াকে তাড়িয়ে বেড়াবে।

বাংলাদেশের পুলিশি সংস্কৃতির ঝোঁক: উপনিবেশের দায়

পুলিশি সংস্কৃতি অনেক ব্যাপক একটা ধারণা। এই ধারণা সম্পর্কিত আলোচনার পরিধি বিশাল। নিয়োগের পর ব্যক্তি কীভাবে ‘পুলিশ’ হয়ে ওঠে, পুলিশি অপরাধ তার গোষ্ঠীতে কীভাবে বৈধতা পায় বা সমালোচিত হয়, ঔপনিবেশিক মানসিকতা কীভাবে পুলিশকে প্রভাবিত করে, ‘ম্যাচো ম্যান’ ইমেজ কীভাবে পুলিশের কর্ম ব্যক্তিত্ত্বকে প্রভাবিত করে, পুলিশি দুর্নীতির সামাজিক কারণ ইত্যাদি নানা বিষয় পুলিশি সংস্কৃতি পাঠের অন্তর্গত। পুলিশি সংস্কৃতির এইসব সাধারণভাবে উপেক্ষিত বিষয়ের পাঠ ছাড়া পুলিশিংয়ে গুণগত পরিবর্তনের যে কোন চেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। বাংলাদেশের পুলিশি সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে উপনিবেশের উত্তরাধিকার বহন করে যার আরো বিস্তৃত পাঠ জরুরি।

রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা : ইতিহাসের স্বার্থে বলে রাখা কিছু কথা

আমি জানি বাংলাদেশের সংবাদপত্রের মালিকানার ধরণ, গণমাধ্যমের দলীয় সংশ্লিষ্টতা এবং দেশে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির কারণে আমার এই প্রত্যাশাকে অনেকে নির্বোধসুলভ মনে করতে পারেন, আমি তাঁদের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করবোনা। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহের কারণে এই কথাগুলো ইতিহাসের স্বার্থে হলেও বলে রাখা কর্তব্য মনে করে লিখে রাখলাম। বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের এবং সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্তরা ভেবে দেখতে পারেন।

মাইক্রোপলিটিক্স ও ক্ষমতাকে প্রতিরোধের সীমানা

সংস্কৃতি কারখানা যেসব মূল্যবোধ উৎপাদন করে নিয়ন্ত্রিত সমাজের পক্ষেই কাজ করে। সংস্কৃতি কারখানা তার কার্যপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনসংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি তার কাঠামোবদ্ধ মূল্যবোধের মাধ্যমে দমন নিপীড়ন ও নিয়ন্ত্রিত কার্যাবলিকে আড়াল করে। গণমাধ্যম কতৃক ভ্রান্ত গণসচেতনতার মাধ্যমে কোন আন্দোলনের কতৃত্ব শেষ পর্যন্ত সার্বভৌম ক্ষমতা নিয়ে নেয়৷ বাস্তবতাকে অবজ্ঞা বা অবদমন করাই যার কাজ।

মগজে কারফিউ : কোনটাকে বলি সংবাদ?

আ-আল মামুন [সম্পাদকীয় মন্তব্য: আ-আল মামুন ‘মগজে কারফিউ : কোনটাকে বলি সংবাদ?’ শীর্ষক প্রবন্ধটি ২০০৪ সালে লিখেছিলেন। পরবর্তীতে ফাহমিদুল হক ও আ-আল মামুন সম্পাদিত ‘মিডিয়া সমাজ সংস্কৃতি’ (২০১৩) গ্রন্থে এটি...

সাংবাদিকতা: মানুষখেকো পুঁজিই কি শেষ কথা?

নয়া উদারবাদ ক্রমাগত সামাজিক সুরক্ষাকে সংকুচিত করে ঘটায় পণ্যায়ন। আবার একই সঙ্গে উন্নয়নের গালভরা বুলিতে নিশ্চিত করে পুঁজি ও পণ্যের অবারিত প্রবাহ। জাতিসঙ্ঘ- বিশ্বব্যাংক-আইমএফ- এডিবি- আইএনজিও এমন নানাবিধ প্রতিষ্ঠান মিলে ঠিক করে এর ব্যবস্থাপত্র, দাঁড়ায় শাসনের নতুন বয়ান, নতুন প্রত্যয়, নতুন জ্ঞানতত্ত্ব। এরই নাম নয়া উদারবাদী শাসকতা।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী কেমন ওষুধনীতি ও স্বাস্থ্যনীতি চেয়েছিলেন

স্বাস্থ্য-নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের পাশাপাশি এসময় জেনারেল এরশাদের পদত্যাগের দাবিতেও দেশে আন্দোলন চলছিল। তারই ফল হিসেবে নব্বুয়ের ডিসেম্বরে এরশাদ পদত্যাগ করেন। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন বিএমএ’র সভাপতি ডা. এম এ মাজেদ। সরকারের প্রথম দিনই সংসদে প্রস্তাব আকারে থাকা স্বাস্থ্য-নীতি-বিলটি বাতিল হয়। তবে ডা. জাফরুল্লাহ’র বিরুদ্ধে অনেকেরই রাগ-ক্ষোভ তখনও থামেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকাকে দিয়ে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। এসময় বিএমএ’র নানান দাবির সমর্থনে এগিয়ে আসতে দেখা যায় ওষুধ শিল্প সমিতিকে।

‘মার্ক্সের পুরনো ছুঁচোটি গভীরে রয়েছে’ : নোম চমস্কি

মানব সমাজ কোনো সংঘবদ্ধ আকারে বজায় থাকবে কিনা, অথবা আমরা অপরিবর্তনীয় খাদের কিনারে চলে গেছি কিনা এবং আমরা সম্পূর্ণ বিপর্যয়ে পতিত হয়েছি কিনা সে বিষয়ে এ প্রজন্মই সিদ্ধান্ত নেবে। আণবিক অস্ত্রের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির বেলায় একই প্রশ্নঃ এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। অন্যান্য সমস্যা রয়েছে। ব্যাপক ও অহেতুক জীবনের মূল্য দিয়ে কোনো একভাবে অতিমারীকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, কিন্তু আরও কিছু অপেক্ষা করছে।