করোনার বাস্তবতা: যুদ্ধ নাকি মোকাবেলা

এতোকিছুর মাঝেও ‘করোনাযুদ্ধ’, ‘প্রথম শহীদ’, ‘ফ্রন্টলাইনার’ এই কথাগুলোও দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি!!! অনেকেই মোটাদাগে করোনা মোকাবেলাকে ‘করোনাযুদ্ধ’, ডাঃ মইনকে করোনাযুদ্ধের ‘প্রথম শহীদ’ ও ডাক্তারদের ‘ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা’ বানিয়ে ফেলেছেন। পশ্চিমা নেতা-মিডিয়ার ‘যৌথ প্রযোজনা’য় সৃষ্ট করোনাবস্থা কে খুব কায়দা করে যে ‘যুদ্ধাবস্থা’ হিসেবে আমাদের মগজে ‘সেট করা’ গেছে সেটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।

রাষ্ট্রচিন্তার আয়োজনে “করোনাকালে চিকিৎসাব্যবস্থা: রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতা , সংকট ও উত্তরণের পথ” শীর্ষক ভিডিও কনফারেন্স

গত ১৪ই এপ্রিল, ২০২০ তারিখে রাষ্ট্রচিন্তার আয়োজনে দ্বিতীয় ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বিষয়বস্তু ছিল ‘করোনাকালের স্বাস্থ্যব্যবস্থা : রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, সংকট এবং উত্তরণের পথ’।

করোনাকালে বোরো ধান: রক্তে-বোনা, নাকি আবারও পাকা ধানে আগুন?

বলা হচ্ছে, করোনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও বিশ্ব অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে, যেটা হবে দীর্ঘস্থায়ী। আর বাংলাদেশ প্রায় বিশ কোটি মানুষের দেশ, যা গোটা ইউরোপের জনসংখ্যার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। আমাদের রাস্তায়, স্টেশনে, ঝুঁপড়িতে, বস্তিতে যতো মানুষ থাকে, পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক দেশে মোট মানুষের সংখ্যাও তত নয়। আর এই বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্য-নিরাপত্তা নির্ভর করে মূলত ধান উৎপাদন এবং তার সংগ্রহ ও বণ্টনে, অর্থাৎ কৃষকের ওপর।

করোনা সঙ্কট: আমাদের শাসকগোষ্ঠীর হালচাল

লুম্পেন পুঁজিবাদের দেশ বাংলাদেশে দেখছি স্কয়ার বা বেক্সিমকোর মতো দানবীয় গ্রুপগুলো অত্যাবশ্যক ওষুধের দাম বাড়িয়ে সেখান থেকে ৫০০ কোটি ব্যবসা নিশ্চিত করে বড়জোর ৫০ কোটি দান হিসেবে তুলে দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। যে তহবিলের টাকা আদৌ উদ্দিষ্ট মানুষের কাছে পৌঁছবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ করার অনেক কারণ ও নজির আছে।

করোনা: প্রত্যাশার ভূত-ভবিষ্যত

সংকটের মাঝখানে বসে টের পাচ্ছি, এইসব ভাবনা ফ্যান্টাসি মাত্র। ঘনঘোর বিপর্যয়ের মাঝখানে বসেও যখন কোন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান-সংগঠন কেবল মুনাফাকেই প্রাধান্য দেয় তখন বোঝাই যায় আর কোন আশা নেই।

করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায় রাষ্ট্রচিন্তার ১০ দফ দাবী

গত (১০/০৪/২০২০) তারিখে রাষ্ট্রচিন্তার উদ্যোগে 'সরকারি প্রণোদনা: কার তেল? কার মাথায়?" শীর্ষক একটি ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ভিডিও কনফারেন্সে অর্থনীতিবিদ, সমাজ-গবেষক, টেকসই উন্নয়ন গবেষকরা অংশ নেন। বক্তারা করোনা মহামারি সৃষ্ট বর্তমান বিপর্যয় ও আসন্ন সম্ভাব্য বিপর্যয়ের দিকগুলো সম্পর্কে সতর্ক করেন এবং জনগণকে সাথে নিয়ে এই বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারকে দ্রুত দৃশ্যমান, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। এছাড়াও দ্রুত এই নজিরবিহীন সংকট উত্তরণে কিছু করণীয় সুপারিশ করেন।

মহামারির কালে শাসকেরা ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ করে

এই আর্টিকেলে তিনি দেখিয়েছেন মানুষের সামনে যদি ভালো–মন্দ বাছাই এর উন্মুক্ত সুযোগ থাকে, তাহলে মানুষ নিজ স্বার্থেই পরিস্থিতি অনুযায়ী ভূমিকা পালন করে এবং সার্ভেইলেন্সের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত করোনা ভাইরাসের মতো সংকট মোকাবেলা করা, মানুষের ব্যক্তিগত জীবন–যাপন নিয়ন্ত্রণ করা নয়। মানুষ যেন চাইলেই প্রয়োজনে সার্ভেইলেন্স সিস্টেম থেকে বের হয়ে আসতে পারে সেরকম ব্যবস্থাও থাকা উচিত।

কোভিড-১৯: বদলে দিচ্ছে বিশ্ব?

যখন আমরা এ সংকট উতরে যাব, তখন আমাদেরকে হয় খুব ক্ষমতা সম্পন্ন কর্তৃত্ববাদী হিংস্র রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বেছে নিতে হবে অথবা সমাজের যৌক্তিক পরিবর্তন ঘটবে, মানবিক এক দয়াবান সমাজ তৈরি হবে যেখানে ব্যক্তিগত লাভের তুলনায় সামষ্টিক মানুষের প্রয়োজন গুরুত্ব পাবে

ধান-রক্ষা যখন দেশ-রক্ষা: কিছু প্রস্তাব

কিন্তু কৃষক ফসল কাটবে কীভাবে? ফসল রাখবে কোথায়? বিক্রি করবে কীভাবে? এই ধান-চাল নিয়ে দেশের অন্যরা কী ভাবছে? সিদ্ধান্তগুলো এ মাসেই নিতে হবে। নেয়া জরুরি।