দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিঃ রাষ্ট্র-সিন্ডিকেটের আঁতাত এবং আমাদের করণীয় শীর্ষক প্রতিবাদ সভা।

বিশ্বে যুদ্ধ হোক বা না হোক, খরা হোক বা না হোক বাংলাদেশে সব সময় সকল দ্রব্যমূল্য বেশি। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ব্যয়বহুল দেশ। ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম ব্যয়বহুল শহর। তার উপর যদি আমদানী পণ্যের সাপ্লাইচেইনে কোনো সমস্যা হয়, তাহলেতো আর কথাই নাই। ক্ষমতাসীন দলের লুটেরা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট সে সংকটের অজুহাতে দ্রব্যমূল্য সাধারণের নাগালে বাইরে নিয়ে যায়।

এদেশের ৫ কোটি লোক বেকার, করোনার পর সাধারণ মানুষ এমনিতেই প্রায় সর্বশান্ত। আমরা সরকারকে রেশনের ব্যবস্থা করতে বলেছি, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে বলেছি, বেকারদের ভাতা দিতে বলেছি। কিন্তু এসব না করে এতো দূর্যোগের মধ্যেও সরকার তেল, চাল, ডাল, জ্বালানী তেল, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সহ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলছে।

একব্যক্তিকেন্দ্রীক রাষ্ট্র ব্যবস্থা জনগণের পক্ষে কখনো থাকতে পারেনা। এমন সরকারগুলো দেশের কী হাল করতে পারে, তার সর্বশেষ উদাহরণ শ্রীলংকা। এটা দেখেও যদি আমাদের সরকারের টনক না নড়ে তাহলে তাদের কপালেও একই দূর্গতি অপেক্ষা করছে।

রাষ্ট্রকে জনগণের পক্ষে আনতে হলে বর্তমান সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ৭০ সালের মতো সংবিধান সংস্কারের নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নয়তো গত ৫০ বছরের মতো কেবল সরকার বদলিয়ে আমাদের একটা কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *