খুলনার রূপসায় গ্রামবাসী জনতার ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের বিবৃতি

শনিবার, ৭ আগস্ট, খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে চারটি মন্দির ও স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর দোকান-ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে ন্যাক্কারজনক সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং এই ঘটনার সুষ্ঠ
প্রশাসনিক তদন্ত ও জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচার অতি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।

অনলাইন পত্রিকা বাংলা ট্রিবিউন এবং জনৈক ইমাম হাফেজ মাওলানা নাজিম উদ্দিন মারফতে জানা যায় যে, ৬ আগস্ট শুক্রবার, শিয়ালী পুরাতন জামে মসজিদের সামনে নামাজের সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কীর্তন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মসজিদের ইমামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। একে কেন্দ্র করেই সাম্প্রতিক হামলা ঘটে থাকতে পারে বলে আশংকা করা যাচ্ছে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন রাষ্ট্রের নাগরিকদের নির্বিঘ্নে ও স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার সমর্থন করে। এই আদর্শের সাথে সঙ্গতি রেখে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন উক্ত ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিবর্গের আইনানুযায়ী উপযুক্ত শাস্তি এবং আক্রান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক সক্রিয়তার দাবি জানাচ্ছে।

তবে আমরা মনে করি, উক্ত ঘটনায় দোষী ব্যক্তিবর্গ যেই বা যারাই হোক না কেন, কোন অবস্থাতেই এই ঘটনার সুযোগ নিয়ে শিয়ালী গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সংগঠিত বর্বরোচিত হামলা সমর্থনযোগ্য নয়।

কোন ঘটনাকে পুঁজি করে দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তথা বিভেদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে ক্ষমতাসংশ্লিষ্ট একটি সুনির্দিস্ট মহল এদেশে তাদের যথেচ্ছাচার ও স্বৈরাচার প্রলম্বিত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বারবার একই ধরনের পরিকল্পিত হামলার মাধ্যমে এবং হামলাসমূহের পেছনে কারা জড়িত তার মূল উদঘাটন না করার দরুন এটাই প্রতীয়মান হয় যে সরকার ও রাষ্ট্র দেশের নাগরিকদের ধর্মীয় স্পর্শকাতরতাকে উস্কে দিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পারস্পরিক আস্থার সংকট ও অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করার মাধ্যমে জবরদস্তি ও দমনমূলক শাসন জারি রাখতে চায়। ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ মনে করে জনগণের সুচিন্তিত ও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপই যাবতীয় বিভাজনের রাজনৈতিক শর্তকে বুমেরাং করার মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে পারে। ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ শান্তিপ্রিয়, ধর্মের নৈতিক আদর্শ ও শিক্ষার অনুসারী-অনুগামী বাংলাদেশের মুসলমান, হিন্দুসহ সকল জনগোষ্ঠীকে সম্মিলিতভাবে এই প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে।

সোমবার, ০৯/০৮/২০২১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *