বিএনপির শান্তিপূর্ণ জমায়েতে গুলি করে মানুষ খুনের নিন্দা ও প্রতিবাদ।
নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ জমায়েতে গুলি করে সরকার মানুষ খুন করেছে। আহত করেছে অনেককে। গ্রেফতার করেছে বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাসহ শতাধিক। গণতান্ত্রিক সভা-সমাবেশ ও জমায়েতের মতো ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হলেও রাষ্ট্রকে সংস্কারের কোনো বিকল্প নাই।
নয়াপল্টনে সরকারী হামলা এবং গ্রেফতারের ঘটনার পর আজকে সন্ধ্যায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বিএনপি অফিসে তাদের খোজখবর নিতে এবং সহানুভূতি ও সহমর্মিতা জানাতে গেলে পল্টনের নাইটিংগেল মোড়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এর আগেও বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে সরকার এবং সরকারী দলের গুন্ডারা হামলা-মামলাসহ প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ অনেক বাধা-বিপত্তি তৈরি করেছে।
এছাড়া রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রীতম দাশের উপর হামলা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার, ৫ বারের শুনানিতেও জামিন না দেয়া, দলের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া, গণতন্ত্র মঞ্চের এবং আরো অনেক দলের নেতা-কর্মীদের, আলেমদের উপর হামলা-মামলা এসবই আওয়ামীলীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী দমননীতির প্রকাশ।
ভোট ডাকাত আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ যুদ্ধে তারা চায় আরো বেশি লুটপাট এবং পাচারের এবসোলিউট ক্ষমতা নির্বিঘ্ন রাখতে।এর বিপরীতে বাংলাদেশের জনগণের লাগবে সরকারের এবসোলিউট জবাবদিহিতা। এবসোলিউট জবাবদিহিতা হলেই সম্ভব লুটপাট, পাচার আর জুলুমতন্ত্র থেকে জনগনের মুক্তি।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এ জুলুম এবং নিপীড়ণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে গণতান্ত্রিক সভা-সমাবেশ ও জমায়েতের মতো ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হলেও বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার এবং শাসন ব্যবস্থার বদল লাগবে। সে লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে বাংলাদেশের জনগণকে আহবান জানায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
বার্তা প্রেরক
সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন
মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক,
জাতীয় নির্বাহী কমিটি।
যোগাযোগ: 01755-557220
